Search

গল্পঃ আহসান

  • Share this:

মাহি একটা চিঠি লিখছে। ঘরে মৃদু আলো। তার পাশে তার স্বামী আহসান ঘুমাচ্ছে৷ সে একবার তার ঘুমন্ত স্বামীর মুখের দিকে তাকাল।

চিঠিতে সে লিখছে,

'বাবা মা অনেকটা জোর করেই তোমার সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দিলো। একবার আমার মত নেয়ার প্রয়োজন মনে করে নি। আমি ভেবেছিলাম তোমাকে ভালোবাসার অভিনয় করতে করতে একদিন সত্যিই ভালোবেসে ফেলব। কিন্তু অদ্ভুতভাবে খেয়াল করলাম, আমি তোমাকে ভালোবাসতে পারিনি।...

এইটুকু লিখে সে চোখ বন্ধ করল।

................

সাজ্জাদের ডাকে আহসান চোখ খুলে তাকাল। সাজ্জাদ আর আহসান পাশাপাশি বসে আছে। প্রায় পাঁচ বছর পর সাজ্জাদ আবার আহসানের বাড়িতে এসেছে। সাজ্জাদ আবার বলে উঠল,

-শুনেছি কয়েক বছর আগে তোর স্ত্রী নাকি পালিয়ে গিয়েছিল?

অনেক বছর পর এই প্রশ্নটা শুনে অস্বস্তির মধ্যে পড়ে গেল আহসান। আজ থেকে প্রায় ৫-৬ বছর আগে তার স্ত্রী পালিয়ে গেছিল। একটা চিঠিও রেখে গেছিল যে সে আর ফিরে আসবে না। সে অন্য কাউকে ভালোবাসে। কিন্তু পরের দিনই তার চিঠির লেখাগুলোকে মিথ্যে করে সে আবার ফিরে এসেছিল।

মাহি সেদিন ভয়ে ভয়ে আবার স্বামীর বাড়ি ফিরে এসেছিল। সে ভেবেছিল আহসান তাকে দেখে অনেক বেশি রাগারাগি করবে। কিন্তু তাকে দেখে আহসান সেসব কিছুই করল না। শুধু বলেছিল, 'মায়ের বাড়ি যাচ্ছো, একটা খবর দিয়ে যাবে না?'

মাহি ভ্রু কুচকে ভেবেছিল তাহলে কি আহসান চিঠিটা পড়ে নি? সে দৌড়ে নিজের রুমে গেল। চিঠিটা সে খাটের পাশেই রেখে এসেছিল। গিয়ে দেখল চিঠিটার উপর একটা গ্লাস যেভাবে রেখে গেছিল, এখনও সেরকমই রাখা।

গ্লাসের নিচে থেকে চিঠিটা নিয়ে সেটা ছিঁড়ে কুচিকুচি করে জানালা দিয়ে ফেলে দিয়েছিল মাহি। তখনই একটা কণ্ঠস্বরের আওয়াজে মাহি চমকে গেল।

-কি করছো?

মাহি পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে আহসান দাঁড়িয়ে আছে। মাহি জবাব না দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দেখে আহসান আবার জিজ্ঞেস করল,

-এভাবে চমকে যাওয়ার কি হলো? এটা আমি। এই ইট পাথরের শহরে ভূতেরা থাকে না।

মাহি হেসে ফেলল। সে মনে মনে ভাবছে 'যাক, চিঠিটা তাহলে দেখেনি। ভালোই হলো।'

আহসান গিয়ে মাহিকে জড়িয়ে ধরলো। মাহিও তার হাতটা আহসানের পিঠে রাখলো।

সাজ্জাদ আবার জিজ্ঞেস করল,

-আমি তোর বেস্ট ফ্রেন্ড। আমাকে তো সব সত্যিটা বলতে পারিস।

আহসান সাজ্জাদের দিকে তাকাল।

সে একটু অস্বস্তির সাথে উত্তর দিলো,

-এখন তো সব ঠিক আছে। আমাদের ঘরে একটা সন্তান আছে। ওইদিনের পর থেকে ও আমার কাছেই থেকে গেছে।

-'ও আমার কাছে থেকে গেছে' কথাটা এভাবে কেন বললি?

-বিয়ের প্রথম এক বছর ও আমার প্রতি অনেক ভালোবাসা দেখিয়েছে, অনেক কেয়ার করেছে আমার। আমিও সেটা একই পরিমাণে কিংবা তারচেয়ে বেশি ভালোবাসা তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি। মন থেকে ওকে ভালোবেসেছি। কিন্তু...

-কিন্তু কি?

-কিন্তু আমার কেন জানি মনে হতো ওর এসব শুধু অভিনয়। ও সত্যি সত্যি আমাকে ভালোবাসে না।

..............

মাহি একটা ট্রে তে করে তিন কাপ চা নিয়ে এসেছে। সে চায়ের কাপ টা বাড়িয়ে দিলো। আহসান হাত বাড়িয়ে কাপটা নিতে চাইলো কিন্তু মাহি সেটা তাকে না দিয়ে আহসানের পাশে বসে থাকা অন্যজনকে দিলো। এরপর সে নিজে চায়ের কাপটা নিয়ে পাশে বসে হেসে হেসে গল্প বলা শুরু করল।

আহসান এবার নিজেই ট্রে থেকে চায়ের কাপটা নিলো। তার খারাপ লাগলেও ও হেসে মাহি আর সেই লোকটির গল্প করা দেখতে লাগল।

.........

আহসান আবার বলছে,

এই চিন্তা গুলো মনে আসলেও আমি জোর করে সরিয়ে দিয়েছি। তবে যেদিন ও চিঠিটা রেখে চলে গেল সেদিনের আশঙ্কাগুলো সত্যি হয়ে গেল।

-ভাবি যখন ফিরে এসেছিল সেদিন তুই কিছু জিজ্ঞেস করেছিলি ভাবিকে? যেমন কেন পালিয়েছিল কিংবা কার সাথে?

আহসান হাসল। হাসি থামিয়ে সে বলল,

-নাহ, কিচ্ছু জিজ্ঞেস করিনি। বরং কোনো ধরণের রাগও দেখাই নি। আমার ভালোবাসা পায়ে মাড়িয়ে সে চলে গেছিল। অথচ আমি স্বাভাবিক থেকেছিলাম। বড্ড বেশি স্বাভাবিক। সেই চিঠিটা যে আমি পড়েছিলাম সেটাও সে জানে না।

............

ঘুম থেকে উঠে আহসান দেখল তার পাশে মাহি নেই। মনে মনে ভাবলো, 'মাহি তো এত সকালে ঘুম থেকে উঠে না।' এরপর উঠে সে বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে পুরো বাড়ির কোথাও মাহিকে পেলো না। মাহিকে ফোন দেয়ার জন্য খাটের পাশে ছোট টেবিলে রাখা ফোনটা নেয়ার সময় খেয়াল করলো তার পাশে একটা সাদা কাগজ রাখা। তার উপরে গ্লাস রাখা। মোবাইলটা না নিয়ে সে গ্লাসটা সরিয়ে চিঠিটা পড়তে শুরু করল।

.......…...

সাজ্জাদ হতবাক হয়ে আহসানের দিকে তাকাল। এখন আহসানের স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে স্কুলে গেছে। ছেলে ক্লাস ওয়ানে পড়ে। একা বাড়িতে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছিল দুজনে।

সাজ্জাদ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল,

-আমি তোকে যতটা চিনি তুই তো এত সহজে কাউকে ছেড়ে দেস না। তোর মনে আছে একবার স্কুলে একটা মেয়ে তোর নামে মিথ্যে বদনাম দিয়েছিল এই বলে যে তুই তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলি।

..........

স্কুলের একটা মেয়ে স্যারের সাথে কথা বলছে। সে আহসানের নামে বলছে,

'স্যার, আহসান আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিসে।'

স্যার রেগে আহসানকে ডাকলেন। মেয়েটি আহসানের দিকে তাকিয়ে বিদ্রুপের হাসি দিলো। মেয়েটি মনে মনে ভাবছে, 'আমাকে পরীক্ষার হলে সাহায্য করো নি। এবার বুঝবা মজা।'

ছোট আহসান ভয়ে ভয়ে স্যারের সামনে গেল। স্যার হুংকার দিয়ে বললেন,

-হাত পাত।

আহসান হাত পাতল। স্যার আহসানের হাতে ইচ্ছেমত বেত দিয়ে মারতে লাগলেন।

.............

-হ্যা মনে আছে। সেদিনের বেতের আঘাত গুলো এখনো আমার মনে রয়ে গেছে।

-হুম। আর তার পরে কয়েকদিনের মধ্যেই রটে গেছিল সে আমাদের ক্লাসের আবিদের সাথে প্রেম করে।

........

আহসান তার বসে থাকা ছেলেটির কানে কানে বলছে,

'জানিস, সোমার সাথে আবিদের সম্পর্ক আছে।'

পাশের ছেলেটি অবাক হয়ে বলল,

-কি বলিস!

-হ্যা আমি নিজ চোখে দেখেছি।

এই ছেলেটি আবার কানে কানে তার পাশের ছেলেটিকে এই কথা বলল।

এভাবে পুরো ক্লাসেই সোমাকে নিয়ে কথাটা ছড়িয়ে পড়েছিল।

..........

আহসান এবার কিছুটা জোরেই হেসে ফেলল।

-হ্যা, এই মিথ্যে রটনাটা আমি রটিয়েছিলাম। ক্লাসের একজনকে বলেছিলাম কথাটা। আর বাকিটা একজন একজন করে পুরোটা স্কুলেই ছড়িয়ে পড়েছিল। আবিদের সাথে সোমার প্রেম ছিল না।

-আর এরপরেই তো তড়িঘড়ি করে সোমার বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়। পড়ালেখাও থেমে যায়। খুবই রক্ষণশীল পরিবার ছিল। তার সাথে যে কারোর রিলেশন নেই এটা বারবার বলেও কোনো কাজ হয় নি।

-হওয়ার কথাও না।

-তাহলে...

একটু দ্বিধান্বিত স্বরে জিজ্ঞেস করল সাজ্জাদ।

-তাহলে কি?

-তাহলে মাহি ভাবিকে এভাবে কোনো শাস্তি না দিয়ে ছেড়ে দিলি কেন?

-কে বলল শাস্তি দেই নি?

এতক্ষণ স্বাভাবিক ভাবে গল্প করা মানুষটা মুহুর্তেই যেন হিংস্র মানবে পরিণিত হলো। সাজ্জাদ তাকিয়ে আছে আহসানের দিকে। আহসান আবার বলতে শুরু করল,

-মাহি মনে করে আমি ওকে প্রচণ্ড রকম ভালোবাসি। কিন্তু সত্যিকার অর্থে ওর প্রতি আমার কোনো ভালোবাসা নেই। আমি যাদের ঘৃণা করি সবার প্রথমে নাম থাকবে মাহির।

আহসান সোফা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে কথা গুলো বলছে।

সাজ্জাদও বসা থেকে উঠে দাঁড়াল। সে কোনো কথা বলছে না। শুধু শুনছে।

-শরৎচন্দ্রের 'চরিত্রহীন' পড়েছিস?

-না।

পাশে রাখা বুকশেলফ থেকে 'চরিত্রহীন' বইটা বের করে নিয়ে পাতা খুলে নাড়াচাড়া করল আহসান। এরপর বইটা বন্ধ করে একটু জোরে সেন্টার টেবিলের উপরে কিছুটা আছরে ফেলে আহসান বলল,

-এখানে লেখক একটা কথা বলেছেন,

''যাহাকে ভালোবাসি সে যদি ভালো না বাসে এমনকি ঘৃণাও করে তাও বোধকরি সহ্য হয়। কিন্তু যাহার ভালোবাসা পাইয়াছি বলিয়া মনে করেছি সেখানে ভুল ভাঙিয়া যাওয়াটা সবচেয়ে নিদারুণ। পূর্বের টা ব্যথা দেয়। কিন্তু পরেরটা ব্যথাও দেয় অপমানও করে।'

সাজ্জাদ বলল,

-তুই কি তাহলে সেই অপমানটাই মাহি ভাবিকে করেছিস?

-হ্যা, আর আজকেই তার সেই ভুল টা ভাঙবে। এজন্যই তোকে আজকে আমার বাসায় ডাকলাম। আমি আজকেই তাকে জানাতে যাচ্ছি সেদিনের পর থেকে তাকে আমি একদিনের জন্যও ভালোবাসিনি। তবে জানিস, সেদিনের পর থেকে মাহি আমাকে সত্যিকারের ভালোবেসেছিলো।

...........

মাহি নিচু স্বরে কারোর সাথে ফোনে বলছে,

'খবরদার তুমি আমাকে আর ফোন দিবে না। পালিয়ে যাওয়ার সময় তোমার ফ্যামিলির কথা মনে পড়ে, তাইনা? আমি এখন আহসানকে বড্ড বেশি ভালোবেসে ফেলেছি। তুমি আমার সংসারে ভুলেও আর আগুন লাগানোর চেষ্টা করবা না।'

মাহি ফোনটা কেটে চলে গেল। তার পিছনে দাঁড়িয়ে ছিল আহসান।

...........

সাজ্জাদ বলল,

-এর থেকে ভালো হতো তুই মাহিকে যদি বাসা থেকে তাড়িয়ে দিতি।

আহসান হাসতে লাগল।

-মাহি...এতক্ষণ তো ভাবি বলে ডাকছিলি।

-ইয়ে মানে..ভুলে মুখ ফসকে..

- আচ্ছা বাদ দে সেসব। একটু পরেই মাহি চলে আসবে মোহনকে নিয়ে। তুইও সামনে থাকিস, বুঝলি। তাহলে বেশ জমবে বিষয়টা।

সাজ্জাদের মুখ ভয়ে পাংশুটে হয়ে গেল। থতমত স্বরে সে বলল,

-আ..আমি কেন? তোদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে...

আহসান তার কলার চেপে ধরে বলল,

-তুই কেন থাকবি সেটা বুঝতে পারছিস না? তোর সাথেই সেদিন পালিয়ে গেছিল মাহি। কিন্তু তুই আসিস নি। তোর সংসারের কথা সেদিন মনে পড়ে গেছিল, তাইনা? আমার সংসার টাকে তুই ভেঙেছিস।

..........

মাহি আবার চোখ খুলে তাকাল। পালিয়ে যাওয়ার আগে রেখে যাওয়া চিঠিটায় সে কিছুটা গ্যাপ লিখে আবার লিখছে,

'আমি সাজ্জাদকে ভালোবাসি। ওর সাথেই আমি চলে যাচ্ছি। আমাকে খোঁজার চেষ্টা করো না। আমি আর ফিরব না।'

মাহি যাকে চায়ের কাপটা এগিয়ে দিচ্ছিলো সেটা সাজ্জাদ।

মাহির সাথে ফোনে যার কথা হচ্ছিল যেটা আহসান পিছন থেকে শুনে নিয়েছিলো সেটাও ছিল সাজ্জাদ।

মাহি পালিয়ে যাওয়ার পর রাস্তায় দাঁড়িয়ে সাজ্জাদের জন্য অপেক্ষা করছে। সাজ্জাদ আসছে না দেখে সে অন্য একজনের থেকে ফোন নিয়ে সাজ্জাদকে কল করে।

সাজ্জাদ তখন তার স্ত্রী আর সন্তানকে নিয়ে রেস্তোরাতে খেতে এসেছে।

তার ফোনে কল আসাতে কল রিসিভ করে যখন বুঝল এটা মাহি সে দূরে সরে গিয়ে বলছে,

'আমি আমার সংসার ফেলে তোমাকে নিয়ে পালিয়ে যেতে পারব না মাহি। তুমি বাসায় ফিরে যাও। আমার সাথে যোগাযোগ করবে না।'

এই বলে কলটা কেটে দিল সাজ্জাদ। এরপর আবার তার স্ত্রী সন্তানের পাশে গিয়ে বসল।

............

একটু পরেই কিছু একটা পরে যাওয়ার শব্দে সাজ্জাদ আর আহসান ঘুরে তাকাল। মাহি এসে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সে জানতো না সাজ্জাদ আজকে তাদের বাসায় আসবে। তার হাতে স্কুল ব্যাগটা পড়ার জন্যই এই শব্দ। সে হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে দুজনের দিকে।

আহসান, সাজ্জাদের কলার ছেড়ে মাহির দিকে এগিয়ে আসলো। এরপর বিদ্রুপের হাসি হেসে বলল,

-তুমি এসে গেছো? আরে আসো আসো..

হাত ধরে তাকে সাজ্জাদের পাশে দাঁড় করিয়ে দিয়ে বলল,

-নাও, তোমার এক কালের রোমিওর সাথে আলাপ করো। কতদিন দেখা হয়না তোমাদের।

মাহি ভয়ার্ত কণ্ঠে বলল,

-আমি ওকে..এখন...ও এখানে কেন?

-সেটা বুঝতে পারছো না??

-মানে...

 

মাহি কাঁদতে শুরু করেছে। সে আহসানকে শান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু পারছে না। সে মুহূর্তে সাজ্জাদের ফোনে একটা কল আসলো।

কল রিসিভ করে 'হ্যালো' বলার আগেই একটা কণ্ঠস্বর বলে উঠল,

'সাজ্জাদ, বৌমা পালিয়ে গেছে। একটা চিঠি রেখে গেছে সে আর বাড়ি ফিরবে না। তুই তো তখন অফিসে আমি ঘুম ছিলাম...ওই সময়েই...

পুরো কথাটা শুনার আগেই সাজ্জাদের হাত থেকে ফোনটা পড়ে গেল। আহসান তার দিকে তাকিয়ে হাসলো।

মোহন স্কুলের ড্রেস পরিবর্তন করে দৌড়ে এই রুমে বাবা বাবা ডাকতে ডাকতে আসছে। আহসান দৌড়ে গিয়ে তাকে কোলে নিতে আসছে।

রাস্তায় দাঁড়িয়ে সাজ্জাদের স্ত্রী চিন্তিত ভঙ্গিতে কাউকে ফোন করছে। আর তখনই আহসানের ফোন বেজে উঠল। আহসান সেটা রিসিভ করল না।

সে হেসে মোহনকে কোলে তুলে নিলো।

(সমাপ্ত)

 

অরণী মেঘ

Tags:

About author
StorialTech is an admin of this multi-platform website. StorialTech shares stories, tutorials, web templates, pdf books, and movies for you to easily access anything related to this website.