ছাত্রীর বড় বোন প্রায় দিনই আমার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে থাকে। আমি অনেক দিন ধরেই বিষয়টা লক্ষ করছি। আমার দিকে চোখ পড়তেই মুচকি একটা হাসি দিয়ে আবার অন্য দিকে মনোনিবেশ করে। আমার যে বিরক্তি বোধ হয় তা নয়, আমার বেশ ভালোই লাগে। তাই তো প্রতিদিন সুন্দর করে চুল আচড়ে আসি, একটু বেশি করে পারফিউম নিয়ে আসি যাতে স্মার্ট স্মার্ট লাগে।
আগে যেখানে ছাত্রীকে এক ঘন্টা পড়াতাম,এখন সেখানে তার মুচকি হাসিটা দেখার জন্য দুই, তিন ঘন্টা পড়ায়।
এতে আমার কদর তো দ্বিগুণ বেড়ে গেছে, ছাত্রীকে এত সময় ধরে পড়ানোর জন্য তার মা কখনও এটা এনে দেয় কখনও ওটা আর ছাত্রীর বোন তো আরও খুশি সে বলে --
--- আর কিছু সময় থাকেন না।
তার মুখের বানী শুনে তো আমার মনের মধ্যে লুঙ্গী ড্যাস্ন দিতে থাকে।
এভাবেই চলতে থাকে আমাদের চোখাচোখি ও কথোপকথন।
কিন্তু আমার আর তর সইছে না নিজের মনের কথা গুলো জলদি তাকে জানাতে হবে।
তাই সিদ্ধান্ত নিলাম কিছুদিনের মধ্যেই মনের কথা গুলো তাকে জানিয়ে দেব।
একদিন ছাত্রীকে পড়ানো শেষে তার বোনকে বললাম --
-- আপনার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
সেও একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলল--
-- কিছুদিন ধরে আমিও আপনাকে একটা কথা বলব ভাবছি।
তার মুখের বানী শুনে তো আমার মনের মধ্যে লাড্ডু ফাইটা গেল সেও আজ তার মনের কথা আমাকে বলবে তাই জলদি করে বললাম--
-- আপনিই তাহলে আগে বলুন।
ছাত্রী বোন আমার কথা শুনে তার মোবাইল ফোনটা বের করে একটা পিক দেখালো পিকটা আমার মতোই কিন্তু আমি না।
ছাত্রীর বোন আমার মুচকি একটা হাসি দিয়ে বলল--
--- এটা হলো আমার বয়ফ্রেন্ড হুবহু আপনার মতো, আপনাকে দেখলে আমার মনে হয় যেন আমার বয়ফ্রেন্ড এর সাথেই আমি রয়েছি কি যে আমার ভালো লাগে তাই তো আমি আপনার দিকে তাকিয়ে থাকি।কিছুদিন ধরে লক্ষ করছি আপনিও আমার দিকে তাকিয়ে থাকেন।আপনি কিছু মনে করেন না তো?
তার মুখের বানী শুনে তো আমার অবস্থা বেহাল। আমিও কম কিসের, নিজের মনডায় তালা মাইরা একটা মুচকি হাসি দিয়া একটু ডং করে কইলাম-
-- আপনাকেও আমার এক আন্টির মতো লাগে তাইতো আপনার দিকে তাকিয়ে থাকি।
Comments (0)