গতকাল বাসায় একটা পার্সেল এসেছে অার সাথে ছোট্ট চিরকুট সেখানে লেখা প্রিয় পিহুক জন্মদিনে খুব সামান্য উপহার।
ডেলিভারি বয় যখন পার্সেল টা দিয়ে যায় তখন অামি টিউশনে ছিলাম এসে দেখি পার্সেল খুলে মা গিফটের উপর চিরুনী তল্লাশি করছে।
এই মহামানবীকে নিয়ে অামি পারি না।
অাপনারাই বলুন তো মেয়ের নামে বেনামী উপহারে মায়ের এত কিউরিসিটি কেন?
অামি ছোট থেকেই জন্মদিন নিয়ে তেমন কোনো প্ল্যান থাকতো না অামার তবে মায়ের হাতের বিশেষ পায়েসটার জন্যই এই দিনের অপেক্ষা করা।
যাইহোক পার্সেলে থাকা লাল শাড়ি চুরি নিয়ে বাসায় তোলপাড় চলে অার এসবের একমাত্র কারণ অামার মাতৃদেবী।
বাবা অাসার সাথে সাথে সব বাবার কানে পৌঁছে গেছে।
বাবার ডাকে বাবার কাছে গেলে সে অামাকে অাচ্ছা মতো বুঝিয়ে দিয়েছে এ বাসায় এসব চলবে না।অথচ অামি পার্সেলের বিন্দু বিসর্গ জানি না।লেখাটাও অচেনা অচেনা।অার সাতকুলে কোনো বয়ফ্রেন্ড নামক মানুষ অামার জীবনে নাই। বাবা ছোটখাটো বিয়ের হুমকিও দিয়ে ফেলেছে।
অাসলে কপাল ছুঁয়ে দেবার মানুষের চেয়ে হাত ধরে রাখা মানুষটা বেশি প্রয়োজন জীবনে।
তাই ভেবেছি নিজের সিদ্ধান্তে নয় পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ে করবো।তাই তো অনার্স কমপ্লিট করা সিঙ্গেল অামি।
এ সমস্যার সমাধান করার জন্য ফোন দিলাম বেস্ট ফ্রেন্ড তৃষাকে সে অামাকে সমাধান দেবার বদলে ঝাঝালো তিরস্কার উপহার দিলো।ফোন রেখে বই নিয়ে বসলাম।
পরেরদিন তৃষা সকাল ৬টায় ঘুম ভাঙিয়ে সারপ্রাইজ দিলো একটা কেক এনে।
অামি বললাম কি রে মুটুসোনা বান্ধবীর জন্মদিনে একখান কেক এনে নিজেকে এতটা মহান ভাবার কিছু নাই।
মোটামুটি এই টপিকে পাক্কা ২২মিনিট ঝগড়া হলো অার তারপর সে স্বীকার করলো গতকালের পার্সেল টা সে পাঠিয়েছে।
অামি অবশ্য তার লেখা প দেখে কিছুটা অান্দাজ করতে পেরেছিলাম।কিন্তু সে যে ব্যবহার করছে ফোনে তাই অার ভাবিনি।
পরে সব স্বীকার করলো কিন্তু এটাও বললো এসব গিফট সে ভালোবেসে দেয়নি খুব একটা বরং ফেসবুকে বেস্ট ফ্রেন্ডদের গিফটের পোস্টে অামার মেনশনের অত্যাচারে বাধ্যে হয়ে দিয়েছে।
অামার কথা হলো সে যাইহোক মেনশন দিলে যদি ভালো কিছু হয় তবে তো মেনশনই ভালো!
লেখাঃস্মৃতিকথা দত্ত
Comments (0)