Search

নেশাগ্রস্ত মেয়ে

  • Share this:

একটি মেয়ে নাইট ক্লাবে বসে ডিস্ক করছে

পাশে একটি ছেলে বসে ওর সাথে কথা বলছে।

রনি: হয়েছে আর কত খাবি চল এখন বাড়ি য়াই।

নিশা: আর অন্ত থাক একটু আগেই তো এলাম নেশাগ্রত্ত কন্ঠে বলে।
রনি: নাআরো অন্স না অনেক হয়েছে এখন বাড়ি চল।

কথাটা বলে মেয়েটিকে টানতে টানতে নিয়ে গেল।

তানিশা: এভাবে টানছ্িস কেন আমি যাচিহ তো।

রনি: চল আমি তোকে বাড়ি পৌছে দী তোর তো পুরো নেশা হয়ে গেছে।
তানিশা: এমন কোনো নেশা নেই ষেটা তানিশাকে নেশাক্ত করতে পারে।
রনি : আমি জানি।

তানিশা আর কোন কথা বলে না ঢুলুঢুলু পায়ে গিয়ে গাড়িতে উঠে ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি স্টার্ট দেয়।
কিছু সময় পর বাড়ি পৌছে যায়।

 

তানিশা গিয়ে কলিং বেল বাজাতে কাজের লোক এসে দরজা খুলে দেয়।

তানিশা টুলু টুলু পায় ঘরে ঢুকে দেখে ওর বাবা ও মা সোফায় বসে আছে।

 তানিশার মা কাজল দেবী: এসেছে নবাবজাদী কোন বাড়ির মেয়ে এত রাতে বাইরে থাকে৷

তানিশা: আমিতো ভদ্র না। না তোমাদের বাড়ির মেয়ে।

কাজল দেবী: দেখেছ বেয়াদ্দপ মেয়ে মুখে মুখে কথা বলে।

দেখে তো মনে হচ্ছে আজ ও খেয়ে এসেছে।

তানিশা: হ্যাঁ এসেছি তোমার কি বেশি কথা বলবে না আমার ব্যাপারে।

কাজল দেবী: দেখেছো তোমার মেয়েকে আগে তো বেয়াদ্দপ ছিল নেশাগ্রত্তরু হলো। নাজানি কিছুদিন পর
আর কি দেখবো।

তিশার বাবা উনার বোউ এর কথা শুনে রাগে উপরে চলে যান।

এখন পরিচয় দেই এতক্ষণ যে মেয়েটার কথা শুনলেন তানিশা রয় বাবা দাদা ও ভাইয়ের খুব আদরের।
তেমনই তানিশা ও ওর দাদা ভাই ও বাবাকে খুব ভালো বাসে। তানিশা দেখতে খুব সুন্দর লম্বা 5 ফুট 3 চোখ
গুলো হান্কা খয়রি পর্নের ঠোঁট গোলাপি চুল লম্বা কালার করা। বাবা একজন বিজনেসম্যান দাদা ডাক্তার।
ভাই বাবার সাথে বিজনেস করে। বাকিটুকু আপনারা গল্পে জেনে যাবেন। ও

মার কথা বললাম না এটা আপনারা পড়ে জেনে যাবেন।

তানিশা ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হয়। সিগারেট নিয়ে হ্যান্ডিং চেয়াড়ে বসে সিগারেটের ধোঁয়া ওড়াতে থাকে।
 তানিস তানিশা র ভাই। তানিশা রুমের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল সিগারেটের গন্ধ শুনে ওখানে দাঁড়িয়ে পড়ে।
তানিস: দিভাই ওই দিভাই দরজা খোল প্রিজ।

তানিশা: ছোট এখন যা আমাকে ঘুমোতে দে।

তানিস : দিভাই দরজা খোল আমি তোর সাথে কথা বলব তুই আবার স্মোক করছিস।

নিশা: আমি বললাম তো আমি এখন ঘুমাবো ডিস্টার্ব করিস না যা।

তানিস জানে তানিশা যখন একটা কথা বলেছে ও আর কোন কথা শুনবে না। তাইও বাধ্য হয়ে রুমে চলে
যায়

তানিশা কিছু সময় পর গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে

 

সকালে

তানিশা ফ্রেশ হয়ে তানিস এর রুমে য়াই।

তানিশা গিয়ে দেখে ওর ভাই ঘৃমিয়ে আছে ও গিয়ে ওর কপালে একটা চুমু দিয়ে চলে আসতে নিলেই।
তানিস: দিভাই এভাবে আর কতদিন চলবে তুই এসব ছেড়ে দিস না কেন আমার কষ্ট হয় তোকে ভাবে
দেখে। যখন দাভাই আসবে ও কিভাবে সামলাবে নিজেকে

তানিশা : আমি এসব কিছু জানি না। না শুনতে চাই তুই ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করে বেরোবি ।আমি গেলাম।
তানিস: দিভাই তুই ব্রেকফাস্ট করিনা।

তানিশা : না। আমি খেলাম

তানিস একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আর মনে মনে বলে তোমরা কৰে আসবে আমি আর পারছি না এসব
দেখতে দিভাই নিজেকে শেষ করে দিচ্ছে একটু একটু করে| দিলাম

তানিশা বের হয়ে সোজা রনির বাসায় যায়। রনি একটা ফ্ল্যাটে একা থাকে ওর বাবা-মা মুম্বাইতে থাকে।
রনি: ভেতরে আয়। বল কি খাবি।

তানিশা তুই জানিস আমি কি খাব।

রনি আর কিছু না বলে ফ্রিজ থেকে একটা বিয়ারের বোতল বের করে এনে তানিশার হাতে দেয়।

রনি: এখন কিছু খা। তুই বোস আমি তোর জন্য চিস স্যান্ডউইচ জুস ওমলেট বানিয়ে আনছি।

তানিশা :তানিস ফোন করেছিল তোকে।

রনি: জানিস তোকে জিজ্ঞেস করছিস কেন।

তানিশা: আমার মাঝে মাঝে কি মনে হয় জানিস আমি ওর বড়না ও আমার বড়ো।জে ভাবে খেয়াল রাখে
আমির মনে হয় দাদাভাই আমার সাথেই থাকে

রনি: তাহলে ওকে কষ্ট দিচিহস কেন।

তানিশা : আমি ওকে কষ্ট দিচিহ নানিজেকে কষ্ট দিচিই।

রনি: তুই ভালো করে জানিস ও কতটা কষ্ট পাচ্ছে বা তন্ময়দা ও অভি দা যখন জানতে পারবে তোর কথা
কোতোটা কষ্ট পাবে।

তানিশা: যা তুই এখন তোর কাছে বেরো আমি এখানে আছি তুই আসাওবদি।

রনি: তুই থাক আমি গেলাম আর যা যেখান থাকে সব ওখানেই আছে।

আর কিছু না বলে রনি বেরিয়ে যায় হসপিটালে যাওয়ার উদ্দেশ্যে

এদিকে তানিশা সারাদিন মদ সিগারেট এসব খেয়ে পার করে দেয়।

রাতে রনি বাড়ি ফিরে দেখে তানিশা ওর রুমে ঘুমিয়ে আছে।।

 

তন্ময় তানিস কে ফোন করে রাতে।

তন্ময়: তানিস কেমন আছিস ভাই।

তানিস: ভালো আছি দাভাই।

তন্ময় : মা বাপি তানিশা কেমন আছে সবাই।

তানিস: সবাই ভালো আছে তুই আসবি কবে দাভাই।

তন্ময়: জলতি আসবো। তোর গলার সুর এমন কেন মনে হচ্ছে

তানিস: তেমন কিছু না একটু ঠান্ডা লেগেছে।

তানিশা: তানিশা তোকে এখনো ওষুধ দেয় নি যেমন মেয়ে তোকে অসুস্থ থাকতে দিচেহ।

তানিস আর কিছু বলতে পারেনা কেঁদে দেয়।

তন্ময়: কি হয়েছে তুই কাঁদছিস কেন।

কথাটা শুনে অভি তন্ময় এর হাত থেকে মোবাইলটা নেয়।

তানিস: দাদাভাই দিভাই ভালো নেই তুই জলি চলে আয়।

অভি: কি হয়েছে তানিশার।

তানিস: তোর আগে আসবে তারপরে বলবো। আর কিছু না বলে ফোন কেটে দেয়।

তন্ময়: কি হয়েছে তানিস তানিশা র আমায় বল।

অভি: শুধু এটুকুই বলবো তানিশা ভালো নেই।

আমার মন বলছিল তানিশা ভালো নেই।

তন্ময় : আমার মনে হয়েছিল তানিশা ভালো নেই।

অভি : আমারও তাই মনে হচ্ছিলো এতদিন এখন শিণ্তর হলাম। তুই সব ব্যাক প্যাক কর আমি টিকিট নিয়ে
আসি।

তন্ময়: কিন্তু কিভাবে যাব আমাদের এখনো ছয় মাস লাগবে।

অভি: এসব করে কি হবে যখন ভালোবাসার মানুষ থাকবে না।

তন্ময়: সেটা আমি বুঝি ও জানিও।

কিন্তু এগ্রিমেন্ট পেপারে সাইন করেছিলাম ওটার কী হবে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমার লাইসেন্স
ক্যানসেল হয়ে য়াবে। আমরা চাইলেও এখন আমাদের হাতে কিছু করার নেই।

অভি নিজের মোবাইল টা বিছানায় ছুড়ে মারে। দু হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরে।

তানিশা ঘূম থেকে উঠে কিছু সময় স্বাভাবিক থাকে। হঠাৎ করে পাগলের মত আচরণ করতে থাকে। রনি
টের পায়।
রনি: তুই শান্ত হয়ে বোস আমি আনছি।

এখন রনির পরিচয় দি। রনি হলো তানিশা র ছোটো বেলার বন্ধু ওরা স্কুল-কলেজ একসাথে পড়েছে।
তানিশার বেস্ট ফ্রেন্ড রনি তানিশা ওর সাথে সব শেয়ার করে নিজের মনের কথা। রনি একজন ডাক্তার।

 

তানিশা ডরিঙ্ক করে আসে কেউ কিছু বললে রাগারাগি করে দুদিন বাড়ি ফিরে না তাই আর কেউ কিছু বলেনা
হাল ছেড়ে দিয়েছে। সাবার মনে এখন একটাই কথা ওরা দুজন আসলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

দেখতে দেখতে 6 মাস কেটে গেছে।

আজ তন্ময় ও অভি অনেকদিন পরে উওরা বাড়ি ফিরছে।

এয়ারপোর্টে তানিস দাঁড়িয়ে আছে।

কিছু সময় পর দেখে দুটো ছেলে আসলো হাতে লাগেজ নিয়ে।

তানিস : জড়িয়ে ধরে কেমন আছো দাভাই।

তন্ময়: ভালো আছি তুই কেমন আছিস তানিশা আসেনি।

তানিস' আসেনি। অভিকে জড়িয়ে ধরে তুমি কেমন আছো অভিদা।

অভি: হ্যা ভালো, তুই কেমন আছিসাও তানিশা কে দেখতে পাচিইনা জে। ওকি আসেনি।

তানিস: আমি বলিনি তোমরা আসবে।

অভি: কেনো।

তানিস : সেটা গেলে দেখতে পাবি এখন চলো বেশি কথা জিজ্ঞেস করো না প্রিজ।

কেউ আর কোন কথা বাড়ানো তানিশ এর সাথে বেরিয়ে পড়ে।

অভি ও আজ তানিশা দের বাড়ি যাচ্ছে। অনেকদিন তানিশাকে দেখে না তাই

বাড়িতে দুজনের সবার সাথে কুশল বিনিময় করে নিজেদের রুমে চলে যায়।

ফ্রেশ হয়ে নিচে আসে। দুজন এসে দেখে তানিস তানিশার মা বাবা সবাই নিচে বসা।

তন্ময়: তোদেরকে দেখতে পাচিই তানিশা কোথায়।

তনিস: একটু অপেক্ষা কর দেখতে পাবি।

কাজল দেবী: চল তোমরা ডিনার করে নেবে।

তন্ময়: তানিশা আসুক সবাই একসাথে করব।

সুভাষ বাবু তানিশা পাপা: আসতে দেরী হবে তোমরা করে নাও।

তানি: পাপা ঠিক বলছে তোমরা করে নাও।

সবাই একসাথে বসে ডিনার শেষ করে।

সবাই গল্প করতে করতে থাকে রাত বারোটা বাজে তা তানিশা আসছে না তখন অভি বলে।

অভি: এত রাত হয়ে গেল তাও তানিশা আসছে না কোথায়ও।

কথাটা শুনে তানিশার মা একটু ঘাবড়ে যায় আর বলে।

কাজল দেবী: চলে আসবে তোমরা চিন্তা করো না তোমার রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো।

তন্ময়: কি আজিব কথা বলছোনা চুটকি এখনো আসেনি আর আমরা ঘুমিয়ে পড়বো।

তানিস: ইনি ঘদি দিভাই এর একটু চিন্তা করত তাহলে দিভাই আজ এমন হতো না।

অভি: কি বললি বুঝতে পারছি না ভালো করে বল!

তানিস: কিছুনা চলো আমার সাথে সব বুঝতে পারবে।

ওরা দু'জন আর কথা না বাড়িয়ে তানিসের সাথে চলে যায়।

তন্ময়: তুই রনির বাড়িতে কেন নিলে আমাদের।

তানিস: ভিতরে গেলে বুঝতে পারবে।

তানিসর কোন কথা না বাড়িয়ে ওদেরকে নিয়ে ভিতরে চলে যায়।

ভিতরে গিয়ে যা দেখে ওদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। তানিশা ঘুমিয়ে আছে ও রনি সোফায় বসে
আছে।

অভি: তুই কি করেছিস আমার তানিশার সাথে শার্টের কলার ধরে।

তানিস: ও কিছু করেনি শান্তি হও।

অভি: কি বলছিস তুই এ সব আমি নিজে চোখে দেখতে পারছি তাও বলছি শান্ত হতে।

তন্ময়: ও ষখন বলছে ওর কথাটা শুনে দেখি।

তারপর সবাই গিয়ে সোফাতে বসে।

রনি ও তানিস এক এক করে সব খুলে বলে এতদিন তিশার সাথে যাযা হয়েছে।

সব শুনে করতে পাতল থেকে মাটি সরে গেছে।

তন্ময়: কি আমার কলিজার বোনের সাথে এতো কিছু হয়ে গেছে আর আমি জানিনা। তোর আগে আমাকে
বলিস নি কেন এত কিছু।

রনি:তানিশা আমাদের কসম দিয়েছিল তাই বলতে পারিনি।।

তন্ময়: কিন্তু এতটা নেশা করতে শুরু করল কেন।

তানিস: মন্মার জন্য।

অভি: মানে।

তানিস অভিকে ও তন্ময়কে সব খুলে বলো। কিভাবে কাজলদীঘি তানিশাকে সবার সামনে অপমান করত
অনাথ বলে সবার সামনে ছোট করত সবসময় গালাগালি করত অপয়া বলো।

একদিন তানিশা দের বাড়িতে একটা পার্টি দেয় তানিশের বার্থডে জন্য সেদিন কাজল দেবে সবার সামনে
তাকে থাপ্পড় মারেন সবার সামনে বলেছে ও একটা অনাত মেষে বাবা মার পরিচয় নেই রাত্তা থেকে তুলে
এনেছে।

সব কথা শুনেছ দুজনের মাথায় রক্ত উঠে যায়।

তন্ময়: চুটকি এতটা সহ্য করেছে।

এসব শুনে তো অভি কিছু বলার ভাষা খুজে পাচ্ছে না।

ওকে কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে।

অভি: কবে থেকে এসব হচেহ।

রনি: 1 বছর।

অভি রেগে গিয়ে সোফায় একটা লাথি মারে অতিসার রুমে গিয়ে তিশার হাত ধরে বসে বলে।

অভি: কেন আমি তোকে ছেড়ে গেলাম না আমরা যেতাম না।না তোর এমন অবস্থা হতো আমাকে ক্ষমা
করে দিস আমি তোকে খুব ভালোবাসি তোকে বলতেই আমি আমার করে নিব আরে নরকের থেকে তোকে
সরিয়ে নিয়ে আসব।

ওর নেশা কাটবে কখন রনি।

রনি: সকালে কেটে যাবে।

 

দেখতে দেখতে এক মাস কেটে গেছে

1 মাসের অনেক চেষ্টা করেছে অভি ও তন্ময়।

কিন্তু পারে নী।

রাতে তানিশাকে আজ কোনমতে সামলানো যাচেহ না।

শেষে মেশে না পেরে। তন্ময় একটা ইনজেকশন নিয়ে আসে।

তন্ময়: আজ লাস্ট দিছি কাল কিন্তু আর দিব না।

তানিশা: হ্যাঁ আমি রাজি।এখন দে আমার কষ্ট হচ্ছে।

তিশা কেমন ছটফট করছে তানিস ও অভির চোখে জল। তনময়ের হাত কাঁপছে।

তন্ময় এর হাত কাঁপছে দেখে তানিশা রনিকে বলে।

তানিশা: রনি তুই দে আমি আর সহ্য করতে পারছি না।

আমি আর কোন কথা না বলে তোর মায়ের হাত থেকে ইনজেকশন নিয়ে তানিশার হাতে পুশ করে দেয়।

মুহুর্তেই তানিশা র ভাব পাল্টে যায়।

রনি সবাইকে নিয়ে গর রুম থেকে বেরিয়ে আসে।

অভি: আমি একটা ডিসিশন নিয়েছি আমি চাই তোরা আমার মতামত দিস।
তন্ময়: তানিশা কে কাল বিয়ে করতে চাই।

কথাটা শুনে সবাই চমকে যায়।

রনি: এত জলতির কি আছে তানিশা একটু সুস্থ হোক তারপরে করো।

অভি: না আমি কাল বিয়ে করতে চাই আর বিয়েটা তো একদিন হবেই কাল কেনো না।

সবাই অনেক বোঝালেও অভি বোঝেনা সে সে সবাইরে না পেরে রাজি হয়ে যায়।

 তনময় কি ওর বাবা-মার সাথে কথা বলে সবাই রাজি হয়ে যায় কারণ ও খুব ভালো ছেলে যে দেখবে গুর
প্রেমে পরে যাবে। দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি গর ব্যবহার আর অভিকের সবাই ছোট থেকে চিনে। অভির
বাবা ও তন্ময় এর বাবা বিজনেস পার্টনার।

সকালের দৃশ্য তানিশার হুশ ফিরে রাতের কথা সব মনে পড়ে। ওঠে ফ্রেস হয়ে বাইরে যায়।

বাইরে গিয়ে থাকে সবাই বসে আছে

তানিশা ওদের সামনে মাথা নিচু করে দাঁড়ায়।

তন্ময়; চল।

তনিশা: কোথায়।

তন্ময়; আমি যে খানে নিয়ে যাবো।

তনিশার কোন কথা বাড়ায় না ওর দাদা ভাইয়ের সাথে যেতে থাকে।

তনময় তানিশাকে একটা শপিং মলে নিয়ে লাল শাড়ি কিনে দিয়ে বলে এটা পড়ে আয়।

ও অফিসে একটা পাঞ্জাবি কিনে বলে তুই উপরে আয়।

তানিশা কিছু জিজ্ঞেস করতে গেলে তনময় ও চোখের ইশারায় বুঝিয়ে দেয় যেন কোনো কথা না বলে।
তানিশার কিছু না বলে সারি টা পড়তে চলে যায় চেঞ্জিং রুমে।

অভি ও পাঞ্জাবীটা পরে আসে।

তারপরে সবাই মিলে একটা মন্দিরে যায়।

তানিশা মন্দির দেখে তো অবাক হয়ে ওর দিকে প্রশ্নবোধক চোখে তাকিয়ে থাকে।

তনময় কিছু না বলে ঠাকুরমাসাই কে বলে মন্ত্র পড়তে।

তানিশা তানিশা রেখে বলে এসব কি হচেহু

তন্ময়: তোর আর অভির বিষে আমি কোন কথা শুনতে চাই না। তোকে আমার কসম চুপচাপ বিয়েটা করে
নে।

তানিশা একবার অসহায় চোখের দাভাইয়ের দিকে তাকায়।

তনময় মুখ ফিরিয়ে নেয়। তানিস এর দিকে তাকালে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়।

বাধ্য হয়ে বিয়ে করতে রাজি হয়।

প্রথমেই ওদের মালা বদল করতে বলা হয়।

তারপর মন্ত্র পড়া শেষ হলে সিঁদুর দিতে বলে অভিকে।

অভির মা এসে অভিরাতে একটা সিন্দুরের কৌটার দেয়।

অভি তিশাকে সিন্দুর পরালে তানিশা চোখটা বন্ধ করে নেয়।

তরপর সবার থেকে আশীর্বাদ নিয়ে ওদের নতুন জীবনের জন্য পা বাড়ায়।

দেখতে দেখতে আরও দুমাস কেটে গেছে ওদের বিয়ের।

তানিশা: কেন করছো অভি এমন। কতদিন ধরে চেষ্টা করছি পেরেছ আমাকে নেশা থেকে ছাড়িয়ে আনতে
নিজেও কষ্ট পাচহ না পারছি তোমাকে ধরতে না পারছি নেশাকে ছাড়তে।

আমি আর বাঁচতে চাই না।

অভি: এমন কথা বলিস না প্লিজ তোর কিছু হলে আমার কি হবে আমি যে তোকে ছাড়া বাঁচবো না।
অভির কথা শুনে তানিশার চোখ দিয়ে এক ফোটা জল গড়িয়ে পড়ে।

তানিশা দৌড়ে গিয়ে অভিকে জড়িয়ে ধরে।

তানিশা: আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি তোমার সাথে বাঁচতে চাই কিন্তু পারছি নাকি করবো আমি এখন।
অভি: তোকে কিছু করতে হবে না তুমি শুধু আমাকে ভালোবাসো।

এভাবে অনেক দিন পার হয়ে যায় যখনই তানিশা র

নেশার লাত মাথায় উঠে যায় তখন ও ওকে নিজের ভালোবাসা আদোর দিয়ে সব ভুলিয়ে দেয় যতক্ষণনা
তানিশা নেশার জন্য ছটফট করা বন্ধ করে দেয়।

 

পাঁচ বছর পর

তিশা এখন পুরো স্বাভাবিক নিজের সংসারে মন দিয়েছে ওর দাদা ভাই ছোট ভাইকে খুব ভালোবাসে ওদের
বিয়ে হয়ে গেছে।

তিশার একটা দু বছরের মেয়ে আছে।

মেয়ে স্বামীকে নিয়ে তিশা এখন খুব সুখী।

তানিশা: তুমি একটা নেশাগ্রস্ত মেয়ে কে ওর জীবন বিলিয়ে দিয়েছে আই লাভ ইউ অভি।

অভি: আই লাভ ইউ টু জান।

 

Tags:

About author
আমি গল্প এবং বই প্রেমিক একজন মানুষ। গল্প এবং বই পড়তে খুবই ভালোবাসি। যেখানেই যে গল্প অথবা কাহিনী খুজে পাই সেগুলো সংগ্রহ করি এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করি। আমি নিজেও কয়েকটি গল্প লিখেছি তবে সেগুলোর সংখ্যাটা খুবই সামান্য।