কাপড় ধোয়ার শুরুতে প্রতিদিনই আগে পকেট চেক করতাম জামানের। কোন জরুরী কাগজ কিংবা টাকা রয়ে গেছে কিনা!
মাশাআল্লাহ্! কোনদিনই জরুরী কোন কিছুই পাইনি। খোসা পেয়েছি তবু চকলেটও না
পাওয়ার মধ্যে যা পেয়েছি বাটা সেন্ডেল কেনার ভাউচার, আমার দেয়া বাজারের লিষ্ট, বুকলিস্ট, এন্টাসিডপ্লাস। এজন্যই বাদ দিয়েছি।
আজ কাপড় ধোয়ার সময় হঠাৎ করে মনটা খুব ভালো হয়ে গেলো। শার্ট ধুয়ে চিপতে গিয়ে দেখি মোটা আর পুটলি হয়ে কি যেন বেশ নরম নরম হয়ে আছে।
আমি খুব আগ্রহ নিয়ে হাত ঢুকিয়ে দেখি এটা বাহিরে পকেটে না। ভেতরের পকেটে।
ভাবলাম আজ বুঝি সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। যার জন্য ১২টি বছর ধরে অপেক্ষা করে আছি। বড় কিছু একটা পেতে চলেছি।
এতদিন যখন পাইনি তখন আজ নিশ্চয় ভালো কিছুই পেতে যাচ্ছি।
ভীষণ ভরসা নিয়ে চোখ বন্ধ করে পকেটে হাত ঢুকালাম।
হাত বের করে চোখ খুলতেই মেজাজ তেলে দেয়া বেগুনের মতো হয়ে গেল!
অসহ্য! একটা অসুস্থ মাস্ক!
যার কানের রাবারটাও ছেঁড়া।
ধুর! এই ১২ বছরে কি একদিনও মানুষ ভুল করেও পাঁচশ টাকার একটা নোটও রাখতে পারেনা!
জামান আসলেই কেমন যেন
এসব মোটেও ঠিক না। সব স্বামীদের উচিত, ইচ্ছে করে হলেও এক হাজার টাকার নোট তিন সপ্তাহে অন্তত একবার রাখা। দু বার হলেও চলে।
মেনে নেয়া যায়!
তবে মাসের পর মাস কেন একই ভুল হবে! এটা চরম অমানবিক। এজন্য সভা, সমাবেশ, সেমিনার, মানববন্ধন করা দরকার। ব্যানারে লেখা থাকবে 'শুণ্য পকেটের প্যান্ট শার্ট কে না বলুন । '
সব নারীরা হাসি হাসি মুখ নিয়ে সেটা ধরে দাঁড়িয়ে থাকবে।
সেমিনার হওয়া উচিত,
" ভুল থেকে ভালো কিছু চাই " শীর্ষক প্রবন্ধ থাকবে সেখানে। বাঘা বাঘা আলোচক আনতে হবে। লাইভ টেলিকাস্ট হবে।
মিছিল হওয়া দরকার....
শ্লোগান হবে..
মানিনা মানতে হবে
পকেটে টাকা থাকতে হবে
আসুক নারী দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য
আমি ঠিক করবো।
'মানিহীন পকেট মানিনা '
সুমেরা জামান
Comments (0)